• রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৫৫ অপরাহ্ন |
  • English Version
শিরোনাম :
বেকারদের কর্মসংস্থানের আশ্বাস দিলেন চেয়ারম্যান প্রার্থী মকবুল হোসেন ভৈরবে দুর্বৃত্তের ইটের আঘাতে এক ব্যক্তির মৃত্যু এখন যেন হাওরে শোভা পাচ্ছে ধানের আলপনা মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে তান্ডব কেটেছে শতাধিক গাছ পাকুন্দিয়ায় শরীফ হত্যা মামলায় চেয়ারম্যানসহ আসামি ২৩, গ্রেপ্তার ৪ হোসেনপুরে রাস্তার বেহাল দশায় ভোগান্তিতে হাজারও গ্রামবাসী ভৈরবে শতাধিক বয়স্ক রিকশা ও ভ্যান চালকের মাঝে ওসি সফিকুল ইসলামের খাদ্য সহায়তা প্রদান ভৈরবে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আহত ৫ গরমে গরিবের এসি যেন মাটির ঘর ভৈরবের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, লেখক ও শিশু সংগঠক শরীফ উদ্দিন আহমেদ জিল্লুর রহমান প্রিমিয়ার ব্যাংক স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেছেন

বাজিতপুরে প্রতিবন্ধী মধু হত্যার মূল আসামি রুবেল গ্রেপ্তার

# মোহাম্মদ খলিলুর রহমান :-
কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে প্রেমের ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রেমিকের প্রতিবন্ধী বাবাকে পিটিয়ে হত্যার মূল আসামি রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
১৯ মার্চ মঙ্গলবার বাজিতপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সত্যজিৎ কুমার ঘোষের নেতৃত্বে বাজিতপুর থানার একটি চৌকস দল প্রযুক্তির সহায়তায় রুবেলকে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থেকে গ্রেপ্তার করে।
জানা যায়, ১৬ মার্চ শনিবার বিকেল ৩টার দিকে বাজিতপুর থানাধীন মাইজচর ইউনিয়নের আয়নারগোপ গ্রামের মধুচন্দ্র দাসের বাড়িতে প্রতিবেশী রুবেল গংদের সাথে পূর্ব বিরোধের জের ধরে মারামারির ঘটনা ঘটে। মারধরের শিকার হয়ে প্রতিবন্ধী মধুচন্দ্র দাস মৃত্যুবরণ করেন।
এ ব্যাপারে নিহতের স্ত্রী সুরজা রানী দাস বাদী হয়ে বাজিতপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। (নং-১১, তারিখ-১৯/০৩/৪)। আসামিরা হলেন, আয়নারগোপ গ্রামের মৃত হাসেন আলীর ছেলে মো. রুবেল মিয়া (২৫), আফসার উদ্দিনের স্ত্রী কল্পনা আক্তার (২৪), পছন্দ আলীর ছেলে আফসার উদ্দিন (৩০) এবং মৃত হাসেন আলীর স্ত্রী মালেকা আক্তার (৫২)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মধু চন্দ্র দাসের ছেলে সবুজ চন্দ্র দাসের (২৫) সঙ্গে প্রতিবেশি আক্তার হোসেনের স্ত্রী দুই সন্তানের জননী কল্পনা আক্তারের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এর জের ধরে কল্পনা আক্তারের আত্মীয় স্বজন শনিবার বিকাল ৩টার দিকে সবুজের বাড়িতে গিয়ে তার বাবা মধু চন্দ্র দাসকে কিল ঘুষি ও লাথি মেরে গুরুতর আহত করে। হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, নিহত মধু চন্দ্র দাসের বড় ছেলে সবুজ চন্দ্র দাস (২৫) এর সাথে পাশের বাড়ির আক্তার হোসেনের স্ত্রী দুই সন্তানের জননী কল্পনা আক্তারের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। বিষয়টি জানাজানি হলে গত ১৫ মার্চ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে সবুজ চন্দ্র দাসকে ১০ হাজার টাকা আর্থিক জরিমানা করে বিষয়টি মীমাংসা করে। পরবর্তীতে মীমাংসিত বিষয় না মেনে রুবেল গং হাতে লাঠি ও বল্লমসহ ১৬ মার্চ বিকেল ৩টার দিকে মধু চন্দ্র দাসের বাড়িতে এসে বলে মীমাংসার বিষয়টি আমরা মানি না। এক পর্যায়ে রুবেল গং মুধ চন্দ্রকে গালিগালাজ করে অতর্কিত এলোপাথারিভাবে মারধর শুরু করে। এসময় রুবেল মিয়ার সাথে কল্পনা আক্তার, আছসার উদ্দিন ও মালেকা আক্তারও এলোপাথারি মারধর করেন মধু চন্দ্র দাসকে। এতে মধু চন্দ্র দাস গুরুতর আহত হয়ে ঘটনাস্থলেই অজ্ঞান হয়ে যায়। আহত মধু চন্দ্র দাসকে বাজিতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্য ডাক্তার উন্নত চিকিৎসার জন্য কিশোরগঞ্জের সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করেন। পরে উপজেলার বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় পথিমধ্যে মধু চন্দ্র দাসের মৃত্যু হয়।
ঘটনার সময় রুবেল গং মধু চন্দ্র দাসের ঘর থেকে লক্ষাধিকার টাকার স্বর্ণালংকার নিয়ে যায় বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
এদিকে খবর পেয়ে বাজিতপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে লাশের সুরতহাল তৈরি করেন এবং ঘটনাস্থল থেকে লাঠি ও বল্লম উদ্ধার করেন।
বাজিতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুর্শেদ জামান জানান, কল্পনা আক্তারের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ককে কেন্দ্র করে তার আত্মীয়-স্বজন শারীরিক প্রতিবন্ধী মধু চন্দ্র দাসকে কিল ঘুষি ও লাথি মেরে আহত করে। হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। ঘটনার তিন দিনের মাথায় ১নং আসামি রুবেলকে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *